নিজস্ব প্রতিবেদক–মাসখানেক আগে মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার খরকি গ্রামে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে, যেখানে প্রবাসীর স্ত্রী তাসলিমা দুই সন্তানের জননী হওয়া সত্ত্বেও পরিবারের যাবতীয় সম্পদ নিয়ে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় তাসলিমার স্বামী, যিনি প্রবাসে কর্মরত, তিনি জানতে পেরে দ্রুত দেশে ফিরে আসেন এবং মেহেন্দিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।তাসলিমার স্বামী অভিযোগ করেন যে, তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা, স্বর্ণালংকার এবং কাগজপত্র নিয়ে তাসলিমা পালিয়ে যান।পরে জানা যায় মেহেন্দিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রুকন্দি গ্রামের হামিদ মৃধার ছেলে পাতারহাট ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক হাসনাইন মৃধার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন তিনি।জিডিটি পরে মামলায় রূপান্তরিত করা হয়। এরই মধ্যে জানা যায়, তাসলিমা তার বোনের বাসায় ফিরে এসেছেন, কিন্তু সেখান থেকেও তিনি পালিয়ে যান।এমনকি হাসনাইন মৃধা এর আগেও আরেক প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বেল্লাল হোসেন হাসনাইন মৃধার বাড়িতে অভিযান চালান। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি, শুধুমাত্র হাসনাইনের বড় ভাই উপস্থিত ছিলেন। তিনি দাবি করেন যে, হাসনাইনের বিষয়ে কিছুই জানেন না।এসআই বেল্লাল হোসেন বলেন, “ঘটনাটি সত্য। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি এবং অভিযুক্তদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।এ ঘটনার পর মেহেন্দিগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বিষয়টির দ্রুত সমাধান এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।