নিজস্ব প্রতিবেদক-মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আলিমাবাদ ইউনিয়নে জেলে কার্ডের ৪৫ টন চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাপ্পির বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, ১১৩০ জন সুবিধাভোগী জেলের প্রত্যেককে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে দেওয়া হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ কেজি চাল।স্থানীয় জনগণ এবং সমাজসেবকরা এ অনিয়মের প্রতিবাদে সরব হন। তারা ইউনিয়ন অফিসে উপস্থিত হয়ে চাল গণনার দাবি জানান। তবে অভিযোগ রয়েছে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার চাল গণনা এড়িয়ে গড়িমসি করেন।পরিস্থিতি সামাল দিতে মেহেন্দিগঞ্জ থানার ইনচার্জের নেতৃত্বে একটি পুলিশ টিম পাঠানো হয়।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জেলে রাখে কার্ডের চাল আত্মসাত করে চেয়ারম্যান বাপ্পি তা বাজারে বিক্রি করেছেন। এসব চাল ১৮০৮ বস্তায় ৪৫ টনের মতো ছিল, যা হতদরিদ্র জেলেদের জন্য বরাদ্দ ছিল। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দ্রুত এই দুর্নীতির তদন্ত এবং অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।