নিজস্ব প্রতিবেদক:-// মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পাতারহাট বন্দরের বিভিন্ন অলি- গলি, রাস্তার পাশের সরকারি জমি এবং খাল দখল করে গড়ে ওঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের মাঝে উচ্ছেদ আতংক বিরাজ করছে। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিস এবং মেহেন্দিগঞ্জ পৃৌর কর্তৃপক্ষ চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সরকারি জমি দখল করে যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে তাদেরকে জমি ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ জারী করেন। এতেই ঐ সকল ব্যবসায়ীদের মাঝে উচ্ছেদ আতংক বিরাজ করছে। মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে পাতারহাট বন্দরের নতুন গরুরহাট সংলগ্ন রাস্তার দুপাশের ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ কালে তাদের এই আতংকের কথা জানা যায়। তারা সাংবাদিকদের জানান, এতোদিন সরকারি জমিতে অবৈধ থাকলেও এখন আর তারা অবৈধ ভাবে থাকতে চায়না। ব্যবসায়ীরা স্থায়ী বন্দোবস্ত চায়। বর্তমানে যারা সরকারি জমিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে,,তাদের লিষ্ট তৈরি করে সরকার এবং পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের নামে যেনো স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। চা দোকানদার শহীদ জানান, ৬ মাস আগে জনৈক জামাল বেপারীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে লোন করে দোকানটি কিনেছে। এখন যদি তাকে এই জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয় তাহলে আত্মহত্যা ছাড়া কোনো উপায় থাকবেনা। তারপক্ষে এডভান্স দিয়ে অন্য কোথায় দোকান রাখা কখনোই সম্ভব হবেনা। এই দোকানটি দিয়ে ৫জনের সংসার কোনো রকম উপায়ে চালিয়ে নিচ্ছেন। ফিড ব্যবসায়ী মোঃ আলাউদ্দিন জানান, অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে ব্যবসাটা একটু রানিং করেছে। এই মুহুর্তে যদি তাকে এখান থেকে উচ্ছেদ করা হয়,তাহলে ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছেন না তিনি। বাড়িতে জটিল রোগে আক্রান্ত বৃদ্ধা মাসহ ৬ সদস্যের পরিবারের ভরনপোষণ সামান্য এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকেই চলতেছে। প্রতিমাসে তার মায়ের ঔষধ লাগে ৫ হাজার টাকা উপরে। এই অবস্থায় সরকার এবং তার প্রতিনিধিরা যেনো তাদের প্রতি একটু মানবিক হন। তারা যেকোনো শর্তে তাদের ভোগদখলে থাকা সরকারি জমি বন্দোবস্ত নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। অপরদিকে বরিশাল জেলা উত্তর মহিলা দলের আহবায়ক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর চৌধুরী শরীফা নাসরিনের স্বামী মোঃ শামীম হায়দার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমার রেকর্ডি সম্পত্তির মাথায় কিছু সরকারি সম্পত্তি থাকতে পারে। সরকার যদি আমাকে সেই জমি বন্দোবস্ত দেয়, তাহলে আমি নিতে আগ্রহী আছি। এ ব্যাপারে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম মশিউর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সরকারি জমি দখল করে যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে তাদেরকে আরো ১ দিন সময় দেওয়া হয়েছে মালামাল ও স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য। নির্ধারিত সময় শেষে আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালাবো।