বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে দুই বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির পর, দাবিকৃত টাকা না পেয়ে শতাধিক গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের উত্তর মমিনপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ মে দুপুরে রাজমিস্ত্রির কাজ করার সময় একই গ্রামের বাসিন্দা মালেক চৌকিদার (৬৫) দুই বছর বয়সী এক শিশুকে কোলে তুলে একটি পরিত্যক্ত ঘরের পাশে নিয়ে যায়। শিশুটির চিৎকারে তার খালা এসে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে তাকে মারধর করেন। এরপর ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত মালেকের খোঁজে রাত ১১টার দিকে একদল লোক তার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত কিশোরীদের গায়ের কাপড় টেনে মুখ দেখে, মালেককে না পেয়ে ভাংচুর করে চলে যায়।
পরবর্তী পরপর তিন দিন তারা বাড়িতে হামলা চালায়। ১৩ মে সন্ধ্যায় মালেকের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী নয়নকে অপহরণ করা হয় এবং মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। পরে ৪০ হাজার টাকা পরিশোধের পর নয়নকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পর মালেকের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলেও দাবী করেন তারা। এ বিষয়ে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হলেও মালেক চৌকিদারের পক্ষে শত শত লোক উপস্থিত হওয়ায় ভুক্তভোগী পক্ষ নিরাপত্তাহীনতায় সেখান থেকে সরে যায়। সালিশে উপস্থিত স্থানীয় গ্রাম পুলিশ রিপন জানান, সালিশে দুই পক্ষের অল্পসংখ্যক লোক থাকার কথা থাকলেও মালেকের পক্ষের বিশাল উপস্থিতির কারণে শিশুটির পরিবার ফিরে যায়।
পরদিন রাতে দুই শতাধিক বনজ ও ফলজ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্বপন গংদের বিরুদ্ধে। মধ্যস্থতাকারী পলাশ জানান, পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায় তারা সালিশ ত্যাগ করেন।
শিশুটির খালা জানান, শিশুর বাবা-মা ঢাকায় থাকায় তারা এখনো থানায় অভিযোগ করেননি। তবে অপহরণ, হামলা ও চাঁদাবাজির ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
বাউফল থানার ওসি মো. আখতারুজ্জামান সরকার বলেন, "ঘটনার বিষয়ে শুনেছি, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।"